আমার বাংলা নিয়ে প্রথম কাজ করবার সুযোগ তৈরি হয়েছিল নামক এক যুগান্তকারী বাংলা সফ্টওয়্যার হাতে পাবার মধ্য দিয়ে। এর পর একে একে বাংলা উইকিপিডিয়া, ওয়ার্ডপ্রেস বাংলা কোডেক্সসহ বিভিন্ন বাংলা অনলাইন পত্রিকা তৈরির কাজ করতে করতে বাংলার সাথে নিজেকে বেঁধে নিয়েছি আষ্টেপৃষ্ঠে। বিশেষ করে অনলাইন পত্রিকা তৈরি করতে ডিযাইন করার সময়, সেই ডিযাইনকে কোডে রূপান্তর করবার সময় বারবার অনুভব করেছি কিছু নমুনা লেখার। যে লেখাগুলো ফটোশপে বসিয়ে বাংলায় ডিযাইন করা যাবে, আবার সেই লেখাই অনলাইনে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ইংরেজিতে লাতিন Lorem Ipsum… সূচক নমুনা লেখা (dummy texts) থাকলেও বাংলা ভাষায় এরকম কোনো লেখা নেই। তাই নিজের তাগিদেই বাংলা ভাষার জন্য প্রথম নমুনা লেখা তৈরি করলাম, এ হলো বাংলা Lorem ipsum – কিন্তু তার অনুবাদ নয়। আমি একে নামকরণ করেছি: অর্থহীন লেখা!
আমি কোনো ভাষাবিজ্ঞানী নই। তাই ভাষাগত, শব্দব্যঞ্জনগত শুদ্ধতা, তাল-লয় -এসব বিষয়ে আমার জ্ঞান খুবই প্রাথমিক। তাই এই লেখায় এসব ভাষাবিজ্ঞানগত তাত্ত্বিক উপাদান খুঁজতে যাওয়া অর্থহীন হবে। আমি চেষ্টা করেছি বাংলা ভাষায় দীর্ঘ শব্দ রাখতে, তবে তা দীর্ঘতম – এমন দাবি আমি করছি না। আমি চেষ্টা করেছি, অংক (সংখ্যা) রাখতে, যাতে ফন্টের অবয়বটা টের পাওয়া যায়। আমি চেষ্টা করেছি যুক্তাক্ষর রাখতে, যতিচিহ্ন রাখতে,… অর্ধমাত্রার অক্ষর, পূর্ণমাত্রার অক্ষর, মাত্রাহীন অক্ষর, কার-ফলাযুক্ত শব্দ, বাক্যের এখানে-ওখানে রাখতে।
বাংলা সব অক্ষর রাখার একটা চেষ্টা ছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ – আমি শেষে এই চেষ্টা করাটাকেই অপ্রয়োজনীয় মনে করলাম। এ-তো আর বাংলা ভাষার আগার হচ্ছে না, এ হলো পরম্পরাহীন, কিংবা তাৎপর্যপূর্ণ একটি লেখা, যা বাংলা ভাষার প্রতিনিধিত্ব করবে টাইপসেটিং, প্রিন্টিং, ইন্ডাস্ট্রিতে কিংবা ওয়েব ডিযাইনে।
অর্থহীন লেখা যার মাঝে আছে অনেক কিছু। হ্যাঁ, এই লেখার মাঝেই আছে অনেক কিছু। যদি তুমি মনে করো, এটা তোমার কাজে লাগবে, তাহলে তা লাগবে কাজে। নিজের ভাষায় লেখা দেখতে অভ্যস্ত হও। মনে রাখবে লেখা অর্থহীন হয়, যখন তুমি তাকে অর্থহীন মনে করো; আর লেখা অর্থবোধকতা তৈরি করে, যখন তুমি তাতে অর্থ ঢালো। যেকোনো লেখাই তোমার কাছে অর্থবোধকতা তৈরি করতে পারে, যদি তুমি সেখানে অর্থদ্যোতনা দেখতে পাও। …ছিদ্রান্বেষণ? না, তা হবে কেন?
যে কথাকে কাজে লাগাতে চাও, তাকে কাজে লাগানোর কথা চিন্তা করার আগে ভাবো, তুমি কি সেই কথার জাদুতে আচ্ছন্ন হয়ে গেছ কিনা। তুমি যদি নিশ্চিত হও যে, তুমি কোনো মোহাচ্ছাদিত আবহে আবিষ্ট হয়ে অন্যের শেখানো বুলি আত্মস্থ করছো না, তাহলে তুমি নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে অগ্রসর হও। তুমি সেই কথাকে জানো, বুঝো, আত্মস্থ করো; মনে রাখবে, যা অনুসরণ করতে চলেছো, তা আগে অনুধাবন করা জরুরি; এখানে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হবার কোনো সুযোগ নেই।
কোনো কথা শোনামাত্রই কি তুমি তা বিশ্বাস করবে? হয়তো বলবে, করবে, হয়তো বলবে “আমি করবো না।” হ্যা, “আমি করবো না” বললেই সবকিছু অস্বীকার করা যায় না, হয়তো তুমি মনের গহীন গভীর থেকে ঠিকই বিশ্বাস করতে শুরু করেছো সেই কথাটি, কিন্তু মুখে অস্বীকার করছো। তাই সচেতন থাকো, তুমি কী ভাবছো— তার প্রতি; সচেতন থাকো, তুমি কি আসলেই বিশ্বাস করতে চলেছো ঐ কথাটি… শুধু এতটুকু বলি, যা-ই বিশ্বাস করো না কেন, আগে যাচাই করে নাও; আর এতে চাই তোমার প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব।
তাই কোন কথাটি কাজে লাগবে, তা নির্ধারণ করবে তুমি— হ্যাঁ, তুমি। হয়তো সামান্য ক’টা বাংলা অক্ষর: খন্ড-ত, অনুস্বার, বিঃসর্গ কিংবা চন্দ্রবিন্দু— কিন্তু যদি তুমি বিশ্বাস করো, তাহলে হয়তো তুমি তা দিয়েই তৈরি করতে পারো এক উচ্চমার্গীয় মহাকাব্য- এক চিরসবুজ অর্ঘ্য। রচিত হতে পারে পৃথিবীর ১ম বিরাম চিহ্নের ইতিকথা – এক নতুন ঊষা। …মহাকাব্য লিখতে ঋষি-মুনি হওয়া লাগে না।
অর্থহীনতা আর অর্থদ্যোতনার সেই ঈর্ষাকাতর মোহাবিষ্টতা তাই তৈরি করে নাও নিজের মাঝে- চাই একটুখানি ঔৎসুক্য। নিজেই ঠিক করো, নিজের ভাষাটা কি অর্থহীন, নাকি কিছু সত্যিই বলছে!
অর্থহীন লেখা যার মাঝে আছে অনেক কিছু। হ্যাঁ, এই লেখার মাঝেই আছে অনেক কিছু। যদি তুমি মনে করো, এটা তোমার কাজে লাগবে, তাহলে তা লাগবে কাজে। নিজের ভাষায় লেখা দেখতে অভ্যস্ত হও। মনে রাখবে লেখা অর্থহীন হয়, যখন তুমি তাকে অর্থহীন মনে করো; আর লেখা অর্থবোধকতা তৈরি করে, যখন তুমি তাতে অর্থ ঢালো। যেকোনো লেখাই তোমার কাছে অর্থবোধকতা তৈরি করতে পারে, যদি তুমি সেখানে অর্থদ্যোতনা দেখতে পাও। …ছিদ্রান্বেষণ? না, তা হবে কেন?
যে কথাকে কাজে লাগাতে চাও, তাকে কাজে লাগানোর কথা চিন্তা করার আগে ভাবো, তুমি কি সেই কথার জাদুতে আচ্ছন্ন হয়ে গেছ কিনা। তুমি যদি নিশ্চিত হও যে, তুমি কোনো মোহাচ্ছাদিত আবহে আবিষ্ট হয়ে অন্যের শেখানো বুলি আত্মস্থ করছো না, তাহলে তুমি নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে অগ্রসর হও। তুমি সেই কথাকে জানো, বুঝো, আত্মস্থ করো; মনে রাখবে, যা অনুসরণ করতে চলেছো, তা আগে অনুধাবন করা জরুরি; এখানে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হবার কোনো সুযোগ নেই।
কোনো কথা শোনামাত্রই কি তুমি তা বিশ্বাস করবে? হয়তো বলবে, করবে, হয়তো বলবে “আমি করবো না।” হ্যা, “আমি করবো না” বললেই সবকিছু অস্বীকার করা যায় না, হয়তো তুমি মনের গহীন গভীর থেকে ঠিকই বিশ্বাস করতে শুরু করেছো সেই কথাটি, কিন্তু মুখে অস্বীকার করছো। তাই সচেতন থাকো, তুমি কী ভাবছো— তার প্রতি; সচেতন থাকো, তুমি কি আসলেই বিশ্বাস করতে চলেছো ঐ কথাটি… শুধু এতটুকু বলি, যা-ই বিশ্বাস করো না কেন, আগে যাচাই করে নাও; আর এতে চাই তোমার প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব।
তাই কোন কথাটি কাজে লাগবে, তা নির্ধারণ করবে তুমি— হ্যাঁ, তুমি। হয়তো সামান্য ক’টা বাংলা অক্ষর: খন্ড-ত, অনুস্বার, বিঃসর্গ কিংবা চন্দ্রবিন্দু— কিন্তু যদি তুমি বিশ্বাস করো, তাহলে হয়তো তুমি তা দিয়েই তৈরি করতে পারো এক উচ্চমার্গীয় মহাকাব্য- এক চিরসবুজ অর্ঘ্য। রচিত হতে পারে পৃথিবীর ১ম বিরাম চিহ্নের ইতিকথা – এক নতুন ঊষা। …মহাকাব্য লিখতে ঋষি-মুনি হওয়া লাগে না।
অর্থহীনতা আর অর্থদ্যোতনার সেই ঈর্ষাকাতর মোহাবিষ্টতা তাই তৈরি করে নাও নিজের মাঝে- চাই একটুখানি ঔৎসুক্য। নিজেই ঠিক করো, নিজের ভাষাটা কি অর্থহীন, নাকি কিছু সত্যিই বলছে!
অর্থহীন লেখা যার মাঝে আছে অনেক কিছু। হ্যাঁ, এই লেখার মাঝেই আছে অনেক কিছু। যদি তুমি মনে করো, এটা তোমার কাজে লাগবে, তাহলে তা লাগবে কাজে। নিজের ভাষায় লেখা দেখতে অভ্যস্ত হও। মনে রাখবে লেখা অর্থহীন হয়, যখন তুমি তাকে অর্থহীন মনে করো; আর লেখা অর্থবোধকতা তৈরি করে, যখন তুমি তাতে অর্থ ঢালো। যেকোনো লেখাই তোমার কাছে অর্থবোধকতা তৈরি করতে পারে, যদি তুমি সেখানে অর্থদ্যোতনা দেখতে পাও। …ছিদ্রান্বেষণ? না, তা হবে কেন?
যে কথাকে কাজে লাগাতে চাও, তাকে কাজে লাগানোর কথা চিন্তা করার আগে ভাবো, তুমি কি সেই কথার জাদুতে আচ্ছন্ন হয়ে গেছ কিনা। তুমি যদি নিশ্চিত হও যে, তুমি কোনো মোহাচ্ছাদিত আবহে আবিষ্ট হয়ে অন্যের শেখানো বুলি আত্মস্থ করছো না, তাহলে তুমি নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে অগ্রসর হও। তুমি সেই কথাকে জানো, বুঝো, আত্মস্থ করো; মনে রাখবে, যা অনুসরণ করতে চলেছো, তা আগে অনুধাবন করা জরুরি; এখানে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হবার কোনো সুযোগ নেই।
কোনো কথা শোনামাত্রই কি তুমি তা বিশ্বাস করবে? হয়তো বলবে, করবে, হয়তো বলবে “আমি করবো না।” হ্যা, “আমি করবো না” বললেই সবকিছু অস্বীকার করা যায় না, হয়তো তুমি মনের গহীন গভীর থেকে ঠিকই বিশ্বাস করতে শুরু করেছো সেই কথাটি, কিন্তু মুখে অস্বীকার করছো। তাই সচেতন থাকো, তুমি কী ভাবছো— তার প্রতি; সচেতন থাকো, তুমি কি আসলেই বিশ্বাস করতে চলেছো ঐ কথাটি… শুধু এতটুকু বলি, যা-ই বিশ্বাস করো না কেন, আগে যাচাই করে নাও; আর এতে চাই তোমার প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব।
তাই কোন কথাটি কাজে লাগবে, তা নির্ধারণ করবে তুমি— হ্যাঁ, তুমি। হয়তো সামান্য ক’টা বাংলা অক্ষর: খন্ড-ত, অনুস্বার, বিঃসর্গ কিংবা চন্দ্রবিন্দু— কিন্তু যদি তুমি বিশ্বাস করো, তাহলে হয়তো তুমি তা দিয়েই তৈরি করতে পারো এক উচ্চমার্গীয় মহাকাব্য- এক চিরসবুজ অর্ঘ্য। রচিত হতে পারে পৃথিবীর ১ম বিরাম চিহ্নের ইতিকথা – এক নতুন ঊষা। …মহাকাব্য লিখতে ঋষি-মুনি হওয়া লাগে না।
অর্থহীনতা আর অর্থদ্যোতনার সেই ঈর্ষাকাতর মোহাবিষ্টতা তাই তৈরি করে নাও নিজের মাঝে- চাই একটুখানি ঔৎসুক্য। নিজেই ঠিক করো, নিজের ভাষাটা কি অর্থহীন, নাকি কিছু সত্যিই বলছে!
অর্থহীন লেখা যার মাঝে আছে অনেক কিছু। হ্যাঁ, এই লেখার মাঝেই আছে অনেক কিছু। যদি তুমি মনে করো, এটা তোমার কাজে লাগবে, তাহলে তা লাগবে কাজে। নিজের ভাষায় লেখা দেখতে অভ্যস্ত হও। মনে রাখবে লেখা অর্থহীন হয়, যখন তুমি তাকে অর্থহীন মনে করো; আর লেখা অর্থবোধকতা তৈরি করে, যখন তুমি তাতে অর্থ ঢালো। যেকোনো লেখাই তোমার কাছে অর্থবোধকতা তৈরি করতে পারে, যদি তুমি সেখানে অর্থদ্যোতনা দেখতে পাও। …ছিদ্রান্বেষণ? না, তা হবে কেন?
যে কথাকে কাজে লাগাতে চাও, তাকে কাজে লাগানোর কথা চিন্তা করার আগে ভাবো, তুমি কি সেই কথার জাদুতে আচ্ছন্ন হয়ে গেছ কিনা। তুমি যদি নিশ্চিত হও যে, তুমি কোনো মোহাচ্ছাদিত আবহে আবিষ্ট হয়ে অন্যের শেখানো বুলি আত্মস্থ করছো না, তাহলে তুমি নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে অগ্রসর হও। তুমি সেই কথাকে জানো, বুঝো, আত্মস্থ করো; মনে রাখবে, যা অনুসরণ করতে চলেছো, তা আগে অনুধাবন করা জরুরি; এখানে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হবার কোনো সুযোগ নেই।
কোনো কথা শোনামাত্রই কি তুমি তা বিশ্বাস করবে? হয়তো বলবে, করবে, হয়তো বলবে “আমি করবো না।” হ্যা, “আমি করবো না” বললেই সবকিছু অস্বীকার করা যায় না, হয়তো তুমি মনের গহীন গভীর থেকে ঠিকই বিশ্বাস করতে শুরু করেছো সেই কথাটি, কিন্তু মুখে অস্বীকার করছো। তাই সচেতন থাকো, তুমি কী ভাবছো— তার প্রতি; সচেতন থাকো, তুমি কি আসলেই বিশ্বাস করতে চলেছো ঐ কথাটি… শুধু এতটুকু বলি, যা-ই বিশ্বাস করো না কেন, আগে যাচাই করে নাও; আর এতে চাই তোমার প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব।
তাই কোন কথাটি কাজে লাগবে, তা নির্ধারণ করবে তুমি— হ্যাঁ, তুমি। হয়তো সামান্য ক’টা বাংলা অক্ষর: খন্ড-ত, অনুস্বার, বিঃসর্গ কিংবা চন্দ্রবিন্দু— কিন্তু যদি তুমি বিশ্বাস করো, তাহলে হয়তো তুমি তা দিয়েই তৈরি করতে পারো এক উচ্চমার্গীয় মহাকাব্য- এক চিরসবুজ অর্ঘ্য। রচিত হতে পারে পৃথিবীর ১ম বিরাম চিহ্নের ইতিকথা – এক নতুন ঊষা। …মহাকাব্য লিখতে ঋষি-মুনি হওয়া লাগে না।
অর্থহীনতা আর অর্থদ্যোতনার সেই ঈর্ষাকাতর মোহাবিষ্টতা তাই তৈরি করে নাও নিজের মাঝে- চাই একটুখানি ঔৎসুক্য। নিজেই ঠিক করো, নিজের ভাষাটা কি অর্থহীন, নাকি কিছু সত্যিই বলছে!
অর্থহীন লেখা যার মাঝে আছে অনেক কিছু। হ্যাঁ, এই লেখার মাঝেই আছে অনেক কিছু। যদি তুমি মনে করো, এটা তোমার কাজে লাগবে, তাহলে তা লাগবে কাজে। নিজের ভাষায় লেখা দেখতে অভ্যস্ত হও। মনে রাখবে লেখা অর্থহীন হয়, যখন তুমি তাকে অর্থহীন মনে করো; আর লেখা অর্থবোধকতা তৈরি করে, যখন তুমি তাতে অর্থ ঢালো। যেকোনো লেখাই তোমার কাছে অর্থবোধকতা তৈরি করতে পারে, যদি তুমি সেখানে অর্থদ্যোতনা দেখতে পাও। …ছিদ্রান্বেষণ? না, তা হবে কেন?
যে কথাকে কাজে লাগাতে চাও, তাকে কাজে লাগানোর কথা চিন্তা করার আগে ভাবো, তুমি কি সেই কথার জাদুতে আচ্ছন্ন হয়ে গেছ কিনা। তুমি যদি নিশ্চিত হও যে, তুমি কোনো মোহাচ্ছাদিত আবহে আবিষ্ট হয়ে অন্যের শেখানো বুলি আত্মস্থ করছো না, তাহলে তুমি নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে অগ্রসর হও। তুমি সেই কথাকে জানো, বুঝো, আত্মস্থ করো; মনে রাখবে, যা অনুসরণ করতে চলেছো, তা আগে অনুধাবন করা জরুরি; এখানে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হবার কোনো সুযোগ নেই।
কোনো কথা শোনামাত্রই কি তুমি তা বিশ্বাস করবে? হয়তো বলবে, করবে, হয়তো বলবে “আমি করবো না।” হ্যা, “আমি করবো না” বললেই সবকিছু অস্বীকার করা যায় না, হয়তো তুমি মনের গহীন গভীর থেকে ঠিকই বিশ্বাস করতে শুরু করেছো সেই কথাটি, কিন্তু মুখে অস্বীকার করছো। তাই সচেতন থাকো, তুমি কী ভাবছো— তার প্রতি; সচেতন থাকো, তুমি কি আসলেই বিশ্বাস করতে চলেছো ঐ কথাটি… শুধু এতটুকু বলি, যা-ই বিশ্বাস করো না কেন, আগে যাচাই করে নাও; আর এতে চাই তোমার প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব।
তাই কোন কথাটি কাজে লাগবে, তা নির্ধারণ করবে তুমি— হ্যাঁ, তুমি। হয়তো সামান্য ক’টা বাংলা অক্ষর: খন্ড-ত, অনুস্বার, বিঃসর্গ কিংবা চন্দ্রবিন্দু— কিন্তু যদি তুমি বিশ্বাস করো, তাহলে হয়তো তুমি তা দিয়েই তৈরি করতে পারো এক উচ্চমার্গীয় মহাকাব্য- এক চিরসবুজ অর্ঘ্য। রচিত হতে পারে পৃথিবীর ১ম বিরাম চিহ্নের ইতিকথা – এক নতুন ঊষা। …মহাকাব্য লিখতে ঋষি-মুনি হওয়া লাগে না।
অর্থহীনতা আর অর্থদ্যোতনার সেই ঈর্ষাকাতর মোহাবিষ্টতা তাই তৈরি করে নাও নিজের মাঝে- চাই একটুখানি ঔৎসুক্য। নিজেই ঠিক করো, নিজের ভাষাটা কি অর্থহীন, নাকি কিছু সত্যিই বলছে!